সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং বর্তমানে সব থেকে বেশি জনপ্রিয় মার্কেটিং।সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং কি? সহজভাবে বলতে গেলে আমরা প্রতিনিয়ত ইন্টারনেট ব্রাউজিং এর মাধ্যমে সোশ্যাল কমিউনিকেশনের জন্য যে সাইট গুলো ব্যবহার করে থাকি সেগুলেো হল সোশ্যাল মিডিয়া। আর আমরা যদি এই সাইটগুলো ব্যবহার করে আমাদের কোনে প্রোডাক্ট বা সার্ভিস প্রমোট করি তাহলে সেটি হল সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং।
কিছু জনপ্রিয় সোশ্যাল সাইট হল : ফেইসবুক,ইনস্টাগ্রাম,টুইটার,লিংকডিন,পিন্টারেস্ট,ইউটিউব,রেডিট ইত্যাদি।
অনেকের ধারনা ওয়েবসাইট ছাড়া অনলাইন মার্কেটিং করা সম্ভব না। আমি বলবো অবশ্যই সম্ভব আর খুব ভালোভাবে সম্ভব।ভালভাবে কাজ করতে পারলে আপনি ওয়েবসাইট ছাড়া সোশ্যাল সাইটগুলো দিয়ে আরো সফলভাবে মার্কেটিং করতে পারবেন।
বর্তমানে ব্লগ কিংবা ওয়েব সাইট থেকেও মানুষ সোশ্যাল সার্ভিস গুলো বেশি ব্যবহার করছে।এমন কি ওয়েবসাইট এর ভিজিটর বাড়ানোর জন্য সোশ্যাল সাইট গুলোকেই বেছে নিচ্ছেন অনেকে।
সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং কেন প্রয়োজন?
সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং বর্তমান সময়ের জন্য সবথেকে বেশি গুরুত্বপূর্ণ। কেননা একটা সময় মানুষ টেলিভিশন দেখত বিনোদন, সংবাদ ,খেলা
দেখার জন্য। এই সব কিছুর জন্য টেলিভিশনই ছিল একমাত্র ভরসা। এর জন্য তাদেরকে সব সময় টেলিভিশন এর সামনে বসে থাকতে হত বা দেখা যেত টেলিভিশন এর নির্দিষ্ট সময়ে তাদেরকে অপেক্ষা করতে হত। কিন্ত এখন সময় পাল্টেছে, আপনি এখন চাইলে যেকোনো সংবাদ, বিনোদন, খেলাধুলা এই সব নিউজ দেখতে ও পড়তে পারবেন খুব সহজে এবং যখন তখন। তাহলে বুঝতেই পারছেন আমাদের দৈনন্দিন জীবনে সোশ্যাল মিডিয়া কতটা গুরুত্বপূর্ণ । আপনি চাইলে এই গুরুত্ব টাকেই কাজে লাগিয়ে মার্কেটিং করতে পারেন। আপনি আপনার ওয়েবসাইট এর প্রোডাক্ট গুলো বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়া তে শেয়ার করে দিন। একটা সময় পর এর ফলাফল খুব ভালভাবে দেখতে পাবেন। সারা পৃথিবী এখন সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং এর উপর নির্ভরশীল। আপনি একটু চিন্তা করে দেখুন না, আপনি শেষ কবে ফেসবুক বা ইউটিউব ব্যবহার থেকে বিরত ছিলেন? তাহলে খুব সহজেই বুঝতে পারবেন এটার গুরুত্ব কতখানি।
কিভাবে সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং করবেন?
আপনি চাইলে যে কোন সোশ্যাল মিডিয়া সাইট ব্যবহার করে মার্কেটিং শুরু করতে পারেন। তবে ফেসবুক আর ইউটিউব বর্তমান সময়ে সবথেকে জনপ্রিয়।
চলুন ফেসবুক আর ইউটিউব মার্কেটিং নিয়ে আরও বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক :
বাংলাদেশের কম-বেশি সবাই আমরা ফেসবুক ব্যবহার করে থাকি। সাধারনত যাদের বয়স ১৬-৪৫ বছর এর মধ্যে এদের সংখ্যা তুলনামূলক বেশি।আপনি ফেসবুক মার্কেটিং এর মাধ্যমে আপনার ওয়েবসাইটে ট্রাফিক বাড়াতে পারবেন। যেকোনো একটা নিস নিয়ে কাজ করে আপনি ফেসবুক এর মাধ্যমে অসংখ্য ট্রাফিক আনতে পারবেন আপনার ওয়েবসাইট।নিউজ, খেলাধুলা, শিক্ষা,বিনোদন যেকোন সাইট নিয়ে কাজ করতে পারেন। আর ফেসবুক এ ভাল কিছু গ্রুপ এবং পেজ তৈরি করে আপনি অনেক অনেক ট্রাফিক আনতে পারবেন আপনার ওয়েবসাইটে। আপনার ওয়েবসাইট যদি ফেসবুক এ জনপ্রিয় হয়ে উঠে তাহলে খুব দ্রুত আপনার ওয়েবসাইট র্যাঙ্ক করবে। তাই বর্তমান সময়ে সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং এর মধ্যে ফেসবুক মার্কেটিং সব থেকে বেশি কার্যকর।
জনপ্রিয়তার দিক থেকে বর্তমানে ইউটিউব এর অবস্থান দুই নাম্বারে। আপনি যদি কোন প্রোডাক্ট নিয়ে কাজ করেন তাহলে ফেসবুক এ মার্কেটিং হবে আপনার জন্য সব থেকে আদর্শ। আর যদি নিউজ নিয়ে কাজ করেন তাহলে ইউটিউব আপনার প্রথম পছন্দ হওয়া উচিত। কেননা এখন মানুষ টেলিভিশনের সামনে বসে যতটা সংবাদ থেকে তার থেকে বেশি সময় এখন ইউটিউব এ সংবাদ দেখে। আপনার ওয়েবসাইট যদি হয় শিক্ষা সংক্রান্ত তাহলে আপনি অবশ্যই ইউটিউব-এ মার্কেটিং করতে পারেন। কেননা
শিক্ষার জন্য ইউটিউব এখন সব থেকে বড় প্লাটফর্ম।