Saturday, May 30, 2020

সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং কি?কেন প্রয়োজন সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং?

সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং বর্তমানে সব থেকে বেশি জনপ্রিয় মার্কেটিং।সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং কি? সহজভাবে বলতে গেলে আমরা প্রতিনিয়ত ইন্টারনেট ব্রাউজিং এর মাধ্যমে সোশ্যাল কমিউনিকেশনের জন্য যে সাইট গুলো ব্যবহার করে থাকি সেগুলেো হল সোশ্যাল মিডিয়া। আর আমরা যদি এই সাইটগুলো ব্যবহার করে আমাদের কোনে প্রোডাক্ট বা সার্ভিস প্রমোট করি তাহলে সেটি হল সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং।
কিছু জনপ্রিয় সোশ্যাল সাইট হল : ফেইসবুক,ইনস্টাগ্রাম,টুইটার,লিংকডিন,পিন্টারেস্ট,ইউটিউব,রেডিট ইত্যাদি।
অনেকের ধারনা ওয়েবসাইট ছাড়া অনলাইন মার্কেটিং করা সম্ভব না। আমি বলবো অবশ্যই সম্ভব আর খুব ভালোভাবে সম্ভব।ভালভাবে কাজ করতে পারলে আপনি ওয়েবসাইট ছাড়া সোশ্যাল সাইটগুলো দিয়ে আরো সফলভাবে মার্কেটিং করতে পারবেন।
বর্তমানে ব্লগ কিংবা ওয়েব সাইট থেকেও মানুষ সোশ্যাল সার্ভিস গুলো বেশি ব্যবহার করছে।এমন কি ওয়েবসাইট এর ভিজিটর বাড়ানোর জন্য সোশ্যাল সাইট গুলোকেই বেছে নিচ্ছেন অনেকে।
সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং কেন প্রয়োজন?
সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং বর্তমান সময়ের জন্য সবথেকে বেশি গুরুত্বপূর্ণ। কেননা একটা সময় মানুষ টেলিভিশন দেখত বিনোদন, সংবাদ ,খেলা
দেখার জন্য। এই সব কিছুর জন্য টেলিভিশনই ছিল একমাত্র ভরসা। এর জন্য তাদেরকে সব সময় টেলিভিশন এর সামনে বসে থাকতে হত বা দেখা যেত টেলিভিশন এর নির্দিষ্ট সময়ে তাদেরকে অপেক্ষা করতে হত। কিন্ত এখন সময় পাল্টেছে, আপনি এখন চাইলে যেকোনো সংবাদ, বিনোদন, খেলাধুলা এই সব নিউজ দেখতে ও পড়তে পারবেন খুব সহজে এবং যখন তখন। তাহলে বুঝতেই পারছেন আমাদের দৈনন্দিন জীবনে সোশ্যাল মিডিয়া কতটা গুরুত্বপূর্ণ । আপনি চাইলে এই গুরুত্ব টাকেই কাজে লাগিয়ে মার্কেটিং করতে পারেন। আপনি আপনার ওয়েবসাইট এর প্রোডাক্ট গুলো বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়া তে শেয়ার করে দিন। একটা সময় পর এর ফলাফল খুব ভালভাবে দেখতে পাবেন। সারা পৃথিবী এখন সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং এর উপর নির্ভরশীল। আপনি একটু চিন্তা করে দেখুন না, আপনি শেষ কবে ফেসবুক বা ইউটিউব ব্যবহার থেকে বিরত ছিলেন? তাহলে খুব সহজেই বুঝতে পারবেন এটার গুরুত্ব কতখানি।
কিভাবে সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং করবেন?
আপনি চাইলে যে কোন সোশ্যাল মিডিয়া সাইট ব্যবহার করে মার্কেটিং শুরু করতে পারেন। তবে ফেসবুক আর ইউটিউব বর্তমান সময়ে সবথেকে জনপ্রিয়।
চলুন ফেসবুক আর ইউটিউব মার্কেটিং নিয়ে আরও বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক :
বাংলাদেশের কম-বেশি সবাই আমরা ফেসবুক ব্যবহার করে থাকি। সাধারনত যাদের বয়স ১৬-৪৫ বছর এর মধ্যে এদের সংখ্যা তুলনামূলক বেশি।আপনি ফেসবুক মার্কেটিং এর মাধ্যমে আপনার ওয়েবসাইটে ট্রাফিক বাড়াতে পারবেন। যেকোনো একটা নিস নিয়ে কাজ করে আপনি ফেসবুক এর মাধ্যমে অসংখ্য ট্রাফিক আনতে পারবেন আপনার ওয়েবসাইট।নিউজ, খেলাধুলা, শিক্ষা,বিনোদন যেকোন সাইট নিয়ে কাজ করতে পারেন। আর ফেসবুক এ ভাল কিছু গ্রুপ এবং পেজ তৈরি করে আপনি অনেক অনেক ট্রাফিক আনতে পারবেন আপনার ওয়েবসাইটে। আপনার ওয়েবসাইট যদি ফেসবুক এ জনপ্রিয় হয়ে উঠে তাহলে খুব দ্রুত আপনার ওয়েবসাইট র্যাঙ্ক করবে। তাই বর্তমান সময়ে সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং এর মধ্যে ফেসবুক মার্কেটিং সব থেকে বেশি কার্যকর।
জনপ্রিয়তার দিক থেকে বর্তমানে ইউটিউব এর অবস্থান দুই নাম্বারে। আপনি যদি কোন প্রোডাক্ট নিয়ে কাজ করেন তাহলে ফেসবুক এ মার্কেটিং হবে আপনার জন্য সব থেকে আদর্শ। আর যদি নিউজ নিয়ে কাজ করেন তাহলে ইউটিউব আপনার প্রথম পছন্দ হওয়া উচিত। কেননা এখন মানুষ টেলিভিশনের সামনে বসে যতটা সংবাদ থেকে তার থেকে বেশি সময় এখন ইউটিউব এ সংবাদ দেখে। আপনার ওয়েবসাইট যদি হয় শিক্ষা সংক্রান্ত তাহলে আপনি অবশ্যই ইউটিউব-এ মার্কেটিং করতে পারেন। কেননা
শিক্ষার জন্য ইউটিউব এখন সব থেকে বড় প্লাটফর্ম।

Thursday, May 7, 2020

ভিডিও মার্কেটিং কেন গুরুত্বপূর্ণ

ইউটিউব মার্কেটিং হলো ডিজিটাল মার্কেটিং এর একটি শক্তিশালী মাধ্যম। বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম সার্চ ইঞ্জিনসোশ্যাল মিডিয়া

১. এখন সাধারণত আর্টিকেল পড়ার ধৈর্য্য অনেকের নেই। সাধারণত এমন সব ক্রেতাদের লক্ষ্য করে ভিডিও মার্কেটিং করা হয়ে থাকে। ফলে দেখা যায় খুব সহজে ব্যবহারকারীরা না পড়েও ভিডিও দেখে পণ্য সম্পর্কে ধারণা পেতে পারেন। এতে করে একসঙ্গে অনেকের দৃষ্টি আকর্ষণ করা সহজ এবং প্রচারণা বৃদ্ধি পাবে। 

২. আপনি চাইলে ভিডিওয়ের মাধ্যমে সহজে পণ্যের গুণাগুন সম্পর্কে জানাতে পারবেন। ফলে ব্যবহারকারীদের মধ্যে ভিডিও দেখার পণ্যের গুণমান সম্পর্কে দ্বিধা থাকে না। যার কারনে বর্তমানে মার্কেটপ্লেসে ভিডিওয়ের চাহিদা রয়েছে অনেক।
৩. ক্যামেরা দিয়ে ভিডিও তৈরি করা একটু ব্যয়বহুল হলেও মোবাইল ডিভাইস ব্যবহার করে তা সহজে করা যায় এবং এবং বিনামূল্যে ইউটিউবের পাবলিশ করতে পারবেন। যার ফলে নতুন উদ্যোক্তারা নিজের পণ্য সহজে প্রচারণা করতে পারে।
৪. সাধারণত ভিডিওয়ের ফলে গুগলের সার্চ ইঞ্জিনে ভালো প্রভাব বিস্তার করা যায়। এখন মার্কেটপ্লেসে ভিডিও মার্কেটিংয়ের প্রতিযোগীতা তুলনামূলকভাবে অনেক বেশি, কিন্ত ভাল মানের ভিডিও অনেক কমই আছে। আপনি যদি ভাল মানের ভিডিও করেন তা সহজে ফল পাবেন।

Friday, May 1, 2020

ডিজিটাল মার্কেটিং কি ও এর গুরুত্ব কি?

বর্তমান সময়ে ইন্টারনেট ব্যাবহার কারীর সংখ্যা দিন দিন বেড়েই চলেছে। সেই সাথে বাড়ছে ট্রাডিশনাল মার্কেটিং পদ্ধতির পাশাপাশি ডিজিটাল মার্কেটিং। আমরা “মার্কেটিং কি?” এ বিষয়ে জ্ঞান থাকলেও হয়ত ডিজিটাল মার্কেটিং কি? সে বিষয়ে কম জানি , কিন্তু আপনি যদি এ সম্পর্কে গুগলে সার্চ দিয়ে একটু জানার চেষ্টা করেন তাহলে আপনি ডিজিটাল মার্কেটিং সম্পর্কে নানা তথ্য পাবেন। সেই সাথে জানতে পারবেন এর ভবিষ্যৎ সম্ভাবনা কি? ঠিক এইসব বিষয় গুলো সামনে রেখে আজকে আমরা আলোচনা করবো “ডিজিটাল মার্কেটিং কি এবং ট্রাডিশনাল মার্কেটিং ও ডিজিটাল মার্কেটিং এর মধ্যে পার্থক্য সমূহ ” আশা করি নিচের আলোচনা গুলো মনোযোগ দিয়ে পড়লে এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারবেন।

ডিজিটাল মার্কেটিং কি (WHAT IS DIGITAL MARKETING)?

সাধারণত “মার্কেটিং কি?” সেটা আমরা সবাই জানি। যেমন- কোন পন্যর (নতুন বা পুরাতন) পন্যর প্রচার প্রচারণার সাহায্য বাজার সৃষ্টি করাকেই মার্কেটিং বলে। আর এ ক্ষেত্রে সর্বপ্রথম যে সমস্যাটি সামনে আসে সেটি হল ওই পণ্যর সঠিক গ্রাহক খুজে বের করা। কোন কোম্পানি বা প্রতিষ্ঠান এই গ্রাহক খুজে বের করার জন্য তারা সবথেকে সহজ মাধ্যম হিসেবে বেছে নেয় টেলিভিশন, রেডিও, সংবাদপত্র ইত্যাদি যেটাকেই ট্রাডিশনাল মার্কেটিং বলা হয়ে থাকে। কিন্ত বর্তমান সময়ে এই মাধ্যম থেকে সবথেকে জনপ্রিয় মাধ্যম হল ইন্টারনেট ভিত্তিক মার্কেটিং যার নাম দেয়া হয়েছে ডিজিটাল মার্কেটিং।
সহজ অর্থে ডিজিটাল প্রযুক্তি (ইন্টারনেট সেবা) ব্যবহার করে কোন পণ্য বা সেবার মার্কেটিং করা হয় তাকে ডিজিটাল মার্কেটিং বলে। বর্তমান সময়ে টেলিভিশন, রেডিও, সংবাদপত্র থেকে বেশি ব্যাবহৃত মাধ্যম হয়ে উঠছে স্মার্টফোন এবং কম্পিউটার বা ল্যাপটপ। আর এই দুটি জিনিসের অন্যতম প্রাণশক্তি হল ইন্টারনেট।
মূলত ইন্টারনেটের সহজলভ্যতার কারণে দিন দিন ট্রাডিশনাল মার্কেটিং এর চেয়ে ডিজিটাল মার্কেটিং অনেক বেশি কার্যকরী হয়ে উঠছে। মানুষ যত বেশি প্রযুক্তির বাবহার শুরু করেছে, ডিজিটাল মার্কেটিং এর ক্ষেত্রও তত বেশি বৃদ্ধি পাচ্ছে।
ব্যাপারটা আরও সহজ ভাবে বুঝতে পারবেন যদি নিচের দেওয়া ইন্টারনেট ব্যবহারকারী পরিসংখ্যান টি পড়ে দেখেন।
আমরা বাংলাদেশের প্রেক্ষাপট নিয়ে একটু ধারণা লাভ করি। বিশ্বে যেখানে বর্তমানে ৪০০ কোটির বেশি মানুষ ইন্টারনেট ব্যবহার করে এবং তার মধ্যে ৩০০ কোটির বেশি মানুষ বিভিন্ন সোশাল মিডিয়া ব্যবহার করে থাকে। ( সূত্র- statista.com ) সেখানে বাংলাদেশের ১৬ কোটি জনগনের প্রায় ৮ কোটির বেশী মানুষ এখন ইন্টারনেট ব্যাবহার করছে। ( সূত্র- btrc.gov.bd ) সেই সাথে জনপ্রিয় যোগাযোগের মাধ্যম ফেসবুকের ব্যবহারকারী ৩ কোটি। যেখানে ২০১২ সালে মোট ইন্টারনেট ব্যবহারকারী ছিল মাত্র ৩১ হাজারের একটু বেশি ( সূত্র- btrc.gov.bd ) । আর সে সময়ে ফেসবুকের ব্যবহারকারী ছিল তো গুটি কিছু মানুষ । এই পরিসংখ্যান থেকেই বোঝা যায় কেন দিন দিন ডিজিটাল মার্কেটিং এত জনপ্রিয় হচ্ছে।